ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন ভেনেজুয়েলার ওপর নৌ অবরোধের হুমকির নিন্দা ইরানের গুম ও নির্যাতনের মামলা শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে’ বলে গাড়ি ম্যানেজ করেন ফয়সাল মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ফিরছেন তারেক রহমান হাসনাতের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দুই ‘সন্দেহভাজন’ আটক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা শেষ স্ট্যাটাসে হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী দ্রুত বিচার আইনের দুই মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস-আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি হাদিকে গুলির আগের রাতে ফয়সাল তার বান্ধবীকে দেশ কাঁপানোর বার্তা দেন মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিএনসিসির বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির চেকপোস্ট ব্যবস্থা জোরদার ট্রাইব্যুনালে নিজের বিচার টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন ইনুর শীতে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়েছে? যা করতে পারেন চায়ের সঙ্গে যে খাবারগুলো খাওয়া ক্ষতিকর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব ওমরাহ ও হজের সময় শিশু হারানো রোধে সৌদি আরবে বিশেষ ব্রেসলেট চালু বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত ৮০ শতাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিদের প্রাণ বাঁচিয়ে ‘জাতীয় হিরো’ আল আহমেদ

১২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেও মৃতপ্রায় কুমার নদ

  • আপলোড সময় : ২৭-০৩-২০২৫ ০২:০৫:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৩-২০২৫ ০২:০৫:১৮ অপরাহ্ন
১২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেও মৃতপ্রায় কুমার নদ
কখনো পানির প্রবাহে ভরা, কখনো বিশাল জলরাশির গর্জন—এভাবেই একসময় প্রবাহিত হতো মাদারীপুরের কুমার নদ। সময়ের বিবর্তনে অযত্ন, অবহেলা ও দখল-দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এই নদ।

নদীর জৌলুস ফেরাতে সরকার দুই দফায় ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করলেও ফিরে আসেনি আগের স্রোত। বর্ষাকালে কিছুটা পানি দেখা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে তা শুকিয়ে খালে পরিণত হয়। নদীর পানি ঠিক রাখতে পুনরায় খননের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খননের আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুমার নদের তীর ঘেঁষে একসময় গড়ে উঠেছিল মাদারীপুর জেলার চরমুগরিয়া ও রাজৈরের টেকেরহাট বন্দর। দুই দশক আগেও মাদারীপুর থেকে খুলনা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নৌপথে যোগাযোগের প্রধান অবলম্বন ছিল এই নদ।

তখন নদীর পানিতে ছিল গভীরতা, ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। খুলনা থেকে বড় বড় স্টিমার এসে ভিড়ত মাদারীপুরের চরমুগরিয়ায়। পাল তুলে ছুটে যেত বিশাল নৌকা। কিন্তু এখন সেই নদ শুধুই স্মৃতি।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কুমার নদ পুনরুজ্জীবিত করতে দুই দফায় ১২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু সঠিকভাবে খনন না হওয়ায় নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক হয়নি। বর্ষার পানি কিছুদিন স্থায়ী থাকলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় নদীর জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। কোথাও কোথাও নদীর মাঝেই সবুজ ফসলের ক্ষেত দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোকসেদ শেখ বলেন, “আগে এই নদীর পানি সব কাজে ব্যবহার করা হতো। এখন ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হয়ে গেছে। গোসল করা তো দূরের কথা, দুর্গন্ধের কারণে কাছে যাওয়া যায় না।”

স্থানীয় যুবক হাফিজ তালুকদার জানান, “খনন করলেও কাজের কাজ হয়নি। মাঝখানে বেশি খোঁড়াখুঁড়ি করায় দুই পাশে মাটি জমে গেছে। এতে মানুষ সহজেই দখল করতে পারছে। টেকেরহাটের বাশহাটা অংশে ভালোভাবে খনন না করায় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হচ্ছে না।”

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের চৌধুরী বলেন,“নদ খননের জন্য নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদে কাজ চলছে।”

তবে স্থানীয়রা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগ ছাড়া কুমার নদ বাঁচানো সম্ভব নয়। তারা দ্রুত দখল উচ্ছেদ ও স্থায়ীভাবে খননের দাবি জানিয়েছেন।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন