ঢাকা , সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ , ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা বাংলাদেশ রাতে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে ঈদের শুভেচ্ছা পাক প্রধানমন্ত্রীর ১৫ বছর পর আমরা মুক্ত পরিবেশে ঈদ পালন করছি : মির্জা ফখরুল যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হতেই হবে: জামায়াত আমির ঢাকার রাস্তায় বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিল, হারানো ঐতিহ্যের সন্ধানে তরুণ প্রজন্ম এবার ঈদে কারাবন্দিদের জন্য যেসব খাবার থাকছে সংকীর্ণতাকে পাশ কাটিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান সারজিসের গাজীপুরে বাসচাপায় নিহত ২, বাসে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা ঘরে বসে আর ঈদ পালন করতে হবে না: উপদেষ্টা আসিফ পুতিনের ওপর ‘বিরক্ত’, ইরানে বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের এক হাতে নিরাপত্তা অন্য হাতে প্রার্থনা মিয়ানমারে ভূমিকম্পের ৬০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার খালেদা জিয়ার পরিবারের ঈদের ছবি পোস্ট করে যা বললেন আসিফ নজরুল মোঘল আমলের কায়দায় ঈদ আনন্দ মিছিল শুরু বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ঢাকাসহ বড় বড় শহরের নিরাপত্তায় ‘সজাগ দৃষ্টি’ রাখছে র‍্যাব মিয়ানমারে আবারও ভূমিকম্প, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০০

১২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেও মৃতপ্রায় কুমার নদ

  • আপলোড সময় : ২৭-০৩-২০২৫ ০২:০৫:১৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৩-২০২৫ ০২:০৫:১৮ অপরাহ্ন
১২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেও মৃতপ্রায় কুমার নদ
কখনো পানির প্রবাহে ভরা, কখনো বিশাল জলরাশির গর্জন—এভাবেই একসময় প্রবাহিত হতো মাদারীপুরের কুমার নদ। সময়ের বিবর্তনে অযত্ন, অবহেলা ও দখল-দূষণের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এই নদ।

নদীর জৌলুস ফেরাতে সরকার দুই দফায় ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করলেও ফিরে আসেনি আগের স্রোত। বর্ষাকালে কিছুটা পানি দেখা গেলেও শুষ্ক মৌসুমে তা শুকিয়ে খালে পরিণত হয়। নদীর পানি ঠিক রাখতে পুনরায় খননের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খননের আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুমার নদের তীর ঘেঁষে একসময় গড়ে উঠেছিল মাদারীপুর জেলার চরমুগরিয়া ও রাজৈরের টেকেরহাট বন্দর। দুই দশক আগেও মাদারীপুর থেকে খুলনা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নৌপথে যোগাযোগের প্রধান অবলম্বন ছিল এই নদ।

তখন নদীর পানিতে ছিল গভীরতা, ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। খুলনা থেকে বড় বড় স্টিমার এসে ভিড়ত মাদারীপুরের চরমুগরিয়ায়। পাল তুলে ছুটে যেত বিশাল নৌকা। কিন্তু এখন সেই নদ শুধুই স্মৃতি।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কুমার নদ পুনরুজ্জীবিত করতে দুই দফায় ১২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু সঠিকভাবে খনন না হওয়ায় নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক হয়নি। বর্ষার পানি কিছুদিন স্থায়ী থাকলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় নদীর জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। কোথাও কোথাও নদীর মাঝেই সবুজ ফসলের ক্ষেত দেখা যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোকসেদ শেখ বলেন, “আগে এই নদীর পানি সব কাজে ব্যবহার করা হতো। এখন ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হয়ে গেছে। গোসল করা তো দূরের কথা, দুর্গন্ধের কারণে কাছে যাওয়া যায় না।”

স্থানীয় যুবক হাফিজ তালুকদার জানান, “খনন করলেও কাজের কাজ হয়নি। মাঝখানে বেশি খোঁড়াখুঁড়ি করায় দুই পাশে মাটি জমে গেছে। এতে মানুষ সহজেই দখল করতে পারছে। টেকেরহাটের বাশহাটা অংশে ভালোভাবে খনন না করায় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হচ্ছে না।”

মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের চৌধুরী বলেন,“নদ খননের জন্য নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদে কাজ চলছে।”

তবে স্থানীয়রা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগ ছাড়া কুমার নদ বাঁচানো সম্ভব নয়। তারা দ্রুত দখল উচ্ছেদ ও স্থায়ীভাবে খননের দাবি জানিয়েছেন।

কমেন্ট বক্স
বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস

বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস